প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই
আর্টিকেলে আমি আপনাকে দেখাবো বিকাশে পিন লক হয়ে গেলে ঠিক করার উপায় বা
বিকাশ পিন লক হলে করণীয় অনেকেই বিকাশে বেশ কয়েকবার ভুল পিন দেওয়ার কারণে
তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন লক হয়ে গিয়েছে বা পিন ব্লক হয়ে গিয়েছে
যদি এরকম হয়ে থাকে যে অন্য কেউ আপনার বিকাশ একাউন্ট এ বেশ কয়েকবার ভুল
প্রিন্ট দেওয়ার কারণে অথবা আপনি নিজেও আপনার বিকাশ একাউন্টে ভুল পিন
একাধিকবার দেওয়ার কারণে আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন লক হয়ে গেছে এখন বিকাশ
একাউন্টের পিন লক হয়ে গেলে কিভাবে ঠিক করবেন তা বুঝতে পারতেছেন না এজন্য
গুগলে এসে সার্চ দিয়েছেন এবং আমার এই আর্টিকেলটা আপনার সামনে এসেছে আজকের
এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে সঠিকভাবে গাইডলাইন দিব যদি কখনো আপনার বিকাশ
একাউন্টের পিন লক হয়ে যায় তাহলে নিচে স্টেপ গুলো ফলো করে আপনি খুব সহজে
নিজে নিজেই আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন ঠিক করতে পারবেন। বিকাশ একাউন্টের
পিন লক হয়ে গেলে কিভাবে উদ্ধার করবেন তা জানার আগে আমাদের জানতে হবে কি কি
কারণে বিকাশ একাউন্টের পিন লক হয় তারপর আমি আপনাকে জানাবো বিকাশ
একাউন্টের পিন লক হলে করনীয় কি।
কি কি কারণে বিকাশের পিন লক হয়?
সাধারণত
একটি কারণে বিকাশ একাউন্ট এর পিন লক হয় তা হল যদি আপনি বিকাশ একাউন্ট
লগইন করার সময় তিনবার ভুল প্রিন্ট দেন তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্ট লক হয়ে
যাবে। এটা আপনার অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তার স্বার্থে ই বিকাশ কর্তৃপক্ষ এ
নিয়ম করেছে কেননা অন্য কেউ যেন বারবার চেষ্টা করে আপনার বিকাশ একাউন্টে
লগইন না করতে পারে এজন্য এই পিন লক সিস্টেম তারা নিয়ে এসেছে যদি আপনার
নিজের বিকাশ একাউন্ট হয়ে থাকে তাহলে তো আপনি একবারেই সঠিক দিতে পারবেন
সেখানে সর্বোচ্চ দুইবার ভুল হতে পারে এজন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ তিন বার ভুল
পিন bKash Account Temporarily Blocked করে দেয়। তাই যদি কখনো ভুল করে
দুইবার বিকাশের ভুল পিন দিয়ে ফেলেন তাহলে তৃতীয়বার আর চেষ্টা করবেন না
তাহলে তৃতীয়বার ভুল দিলেই আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন লক হয়ে যাবে
তৃতীয়বার পিন দেওয়ার আগে ভালো করে যাচাই করে দেখুন আপনার পিন দেওয়া
কোথায় ভুল হচ্ছে সঠিক পিন তৃতীয়বার দিলেই আপনার একাউন্ট টা লগইন হয়ে
যাবে। অথবা আপনি চাইলে টেম্পোরারি পিন লক হওয়ার আগেই প্রয়োজনে পিন রিসেট
করে নিবেন।
বিকাশ পিন লক হলে করনীয়:
যদি
কখনো ভুল করে বিকাশের পিন লক করে ফেলেন অথবা কোন কারণে বিকাশের পিন লক
হয়ে যায় তাহলে লক হওয়া বিকাশের পিন কিভাবে উদ্ধার করবেন তা জানতে নিচের
স্টেপ গুলো ফলো করুন।
বিকাশের পিন লক হয়ে গেলে ২ টা পদ্ধতিতে আপনি পিন উদ্ধার করতে পারবেন দুইটা পদ্ধতি আমি নিচে জানিয়ে দিচ্ছি।
১। কোড ডায়াল করে বিকাশ পিন রিসেট:
ভুল
করে তিনবার ভুল পিন দেওয়ার কারণে বিকাশে পিন লক হয়ে গেলে কোড ডায়াল করে
যদি নিজে নিজেই বিকাশের পিন রিসেট করতে চান তাহলে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ
করুন।
প্রথমতঃ আপনার মোবাইলের ডায়াল পেডে গিয়ে *247# টাইপ করে বিকাশ যে সিমে সেই সিম দিয়ে কল করে দিন।
দ্বিতীয়তঃ এখানে 9 নাম্বারে দেখবেন "PIN Reset" নামক একটা অপশন রয়েছে এখান থেকে Reply তে গিয়ে '9' টাইপ করে দিবেন।
তৃতীয়তঃ
এখানে আপনার National ID Card/Passport/Driving License এর নাম্বারটা
বসিয়ে দিবেন যেটা দিয়ে আপনি আপনার এই বিকাশ একাউন্টটা খুলেছিলেন।
তারপরঃ এবার আপনার জন্ম সাল চাইবে এখানে আপনার জন্ম সাল লিখে দিবেন। যেমন: 1986
তারপরঃ
এখানে সর্বশেষ ৯০ দিনের ভিতরে কোন একটি লেনদেনের ধরন Select করে Reply
করুন। যদি কোন লেনদেন না করেন তাহলে No Transaction অপশন সিলেক্ট করে Reply
করুন।
সবশেষেঃ আপনি যে লেনদেন সিলেক্ট করেছেন সেই লেনদেনের পরিমাণ লিখুন। দশমিক থাকলে দশমিকের আগের অংক লিখুন।
উপরে
যে তথ্যগুলো দিয়েছেন সেগুলো যদি সঠিক থাকে তাহলে সাথে সাথেই ফিরতি মেসেজে
আপনাকে একটি টেম্পোরারি পিন কোড দেওয়া হবে। এই পিন কোড দিয়ে আপনি আপনার
বিকাশ একাউন্ট এর পিন পরিবর্তন করে আপনার ইচ্ছামত একটি পিন সেট করতে পারবেন
অর্থাৎ আপনার বিকাশের পিন পরিবর্তন করতে পারবেন। তার জন্য নিচের ধাপ গুলো
অনুসরণ করুন।
বিকাশের পিন পরিবর্তন করবেন যেভাবে:
- প্রথমে আপনার মোবাইলের ডায়াল পেডে গিয়ে *247# টাইপ করে আপনার বিকাশের সিম থেকে কল করে দিন।
- এবার 1 নাম্বারে দেখবেন Change Mobile Menu PIN এখান থেকে 1 লিখে Reply করুন।
- এবার এখানে OLD PIN দিতে বলবে এখানে এইমাত্র SMS এর মাধ্যমে পাওয়া বিকাশের টেম্পোরারি পিন নাম্বারটি বসিয়ে দিবেন।
- এবার NEW PIN হিসেবে আপনার পছন্দমত ৪ বা ৫ ডিজিটের PIN লিখুন। একই পিন নিচের বক্সে আবার লিখে Confirm করুন।
ব্যাস
আপনার কাজ শেষ! একটু আগে নতুন যে পিন সেট করলেন এখন থেকে এই পিন দিয়েই
আপনার বিকাশ একাউন্টে লগইন করতে পারবেন এবং বিকাশ একাউন্টের সমস্ত কাজকর্ম
লেনদেন করতে পারবেন। যদি আপনি ঘরে বসে নিজে নিজেই বিকাশের ক্লিন রিসেট করতে
চান তাহলে উপরের এই ধাপগুলো অনুসরণ করে আপনাকে বিকাশের পিন রিসেট করতে
হবে। এবার দেখাবো দ্বিতীয় পদ্ধতিতে কিভাবে বিকাশের পিন ব্লক হলে পিন
উদ্ধার করবেন।
২। Customer Care এর সহায়তায় বিকাশ পিন রিসেট:
বিকাশ
একাউন্টে কোন কারনে যদি আপনার পিন লক হয়ে যায় তাহলে পিন রিসেট করার দুই
নাম্বার পদ্ধতি হলো বিকাশ এর কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিদের সাথে সরাসরি
মোবাইলে কথা বলে ৩ উদ্ধার করা এজন্য কোন কোন ধাপ আপনাকে অনুসরণ করতে হবে
এবং কি কি প্রয়োজন তা নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা রয়েছে।
বিকাশের লক হয়ে যাওয়া পিন উদ্ধার করার জন্য সরাসরি বিকাশের হেল্পলাইন নাম্বারে ১৬২৪৭ কল করতে হবে।
এবার
বিকাশের যে প্রতিনিধি আপনার সাথে কথা বলবে তাকে বলুন আপনার বিকাশ
একাউন্টের পিন লক হয়ে গেছে আপনি তা পুনরায় উদ্ধার করতে চাচ্ছেন। এবার
তারা বিকাশ একাউন্ট টা আপনার কিনা তা যাচাই করবে এজন্য আপনার বিকাশ একাউন্ট
যে ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে খোলা সেই ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার জানতে
চাইবে এবং ওই ভোটার আইডি কার্ড যার নামে তার বাবার নাম কি এবং মায়ের নাম
কি তাছাড়া জন্ম তারিখ জানতে চাইতে পারে এবং যার ভোটার আইডি কার্ডটাকে সাথে
রাখবেন তার সাথেও কথা বলতে পারে।
এবার সর্বশেষ ৯০ দিনের ভিতরে এই বিকাশ একাউন্ট দিয়ে আপনি কি ধরনের লেনদেন করেছেন তা জানতে চাইবে ।
উপরের এ তথ্যগুলো যদি সঠিকভাবে আপনি দিতে পারেন তাহলে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি নাই আপনার বিকাশ একাউন্টের রিসেট করে দিবে।
তিনবার
বিকাশে ভুল পিন দিলেই বিকাশের পিন লক হয়ে যাবে অথবা আপনার বিকাশ একাউন্টে
যদি কোন সমস্যা দেখে থাকে বিকাশ কর্তৃপক্ষ তাহলেও আপনার বিকাশ
অ্যাকাউন্টের দিন লক করে দিতে পারে তো যদি কখনো আপনার বিকাশ একাউন্টের পিন
কোন কারনে লক হয়ে যেয়ে থাকে তাহলে উপরের দুইটা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিকাশের
পিন রিসেট করে নিতে পারবেন প্রথমত ইউএসএসডি কোড ডায়াল করে কিভাবে বিকাশের
পিন রিসেট করবেন এবং দ্বিতীয় কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কথা বলে
কিভাবে বিকাশের পিন রিসেট করবেন ঘরে বসেও নিজে নিজে বিকাশের পিন রিসেট করা
যায় আবার বিকাশের হেল্পলাইন নাম্বারে কথা বলেও বিকাশের পিন রিসেট করা
যায়। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল পড়ে আপনি খুব সহজেই বুঝতে পেরেছেন বিকাশে
পিন কোড কারণে ব্লক বা লক হয়ে গেলে তা কিভাবে উদ্ধার করবেন বা রিসেট
করবেন।
যদি আজকের আর্টিকেল টা ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ!