নতুন সিম কেনার পর করণীয়সমূহ জেনে নিন [সাবধান]

আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নতুন সিম কেনার পর করণীয় সমূহ কি কি অনেকেই নতুন সিম কেনেন কিন্তু সিম কেনার পরে আমাদের কি কি করনীয় কোন কাজগুলো সিম কেনার পরে করতে হয় তা আমরা অনেকেই জানিনা যে কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়ি। আজ আমি এই আর্টিকেল এর ভিতর আপনাদের সাথে শেয়ার করে দিব একটা নতুন সিম কেনার পরে আপনার যে যে করণীয় রয়েছে যে কাজগুলো আপনাকে অবশ্যই করতে হবে তা ধারাবাহিকভাবে নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলা দেশের যতগুলো সিম কোম্পানি রয়েছে বাংলালিংক সিম গ্রামীন সিম বা জিপি সিম রবি সিম এয়ারটেল সিম টেলিটক সিম আর স্কিটো সিম এই সিম গুলো আমরা প্রতি প্রত্যেকে কোন না কোন সিম ব্যবহার করি বিভিন্ন প্রয়োজনে আমরা নতুন সিম কিনি অনেকে কথা বলার জন্য সিমকে নিয়ে অনেকে ইন্টারনেট চালানোর জন্য সিম কিনে তাই সিম কেনার পরে আমাদের যে করণীয় গুলো রয়েছে সেগুলো একটা একটা করে এখন ধারাবাহিকভাবে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।

নতুন সিম কেনার পর করণীয়সমূহঃ

বাংলাদেশের যেকোন সিম আপনি ব্যবহার করেন না কেন নতুন সিম কেনার পরে কিছু করণীয় রয়েছে যেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে তাহলে আপনি কোন বিপদের সম্মুখীন হবেন না যা নিচে আলোচনা করা হলো।

একাউন্টে টাকা রিচার্জ করাঃ

একটা নতুন সিম কেনার পরে আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে একাউন্টের সঠিকভাবে টাকা রিচার্জ করা একটা নতুন সিম যখন আপনি কিনতেছেন এই সিমে আপনি একটা ওয়েলকাম বোনাস পাবেন এই ওয়েলকাম বোনাসটা নির্দিষ্ট সংখ্যক রিচার্জ এর উপরে নির্ভর করে হতে পারে ২০ টাকা ৩০ টাকা অথবা ৫০ টাকা। যার কাছ থেকে সিমটা আপনি কিনতেছেন তার কাছ থেকে সঠিক ভাবে জেনে নিবেন ওয়েলকাম অফার পেতে হলে আপনাকে ঠিক কত টাকা রিচার্জ করতে হবে সঠিকভাবে ওয়েলকাম বোনাস পাওয়ার জন্য সঠিক সংখ্যক টাকা রিচার্জ করুন।

সিমে পিন কোড সেট করাঃ

একটা নতুন সিম কিনলেই তাতে লেখা থাকে ওই সিমের নরমাল পিন কোড আপনার উচিত হবে ওই পিন কোড টাকে পরিবর্তন করে আপনার পছন্দমত পিন কোড সেট করা। কেননা এই সিমটা যদি আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কোন কাজে ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ফোনটা চুরি হয়ে গেল অথবা সিমটা হারিয়ে গেল সে ক্ষেত্রে আপনার এই সিমে পিন কোড থাকার কারণে অন্য কেউ সিমটা ব্যবহার করে আপনার কোন ক্ষতি করতে পারবে না তাই সবসময় চেষ্টা করবেন সিম কার্ডে গোপন পিন কোড ব্যবহার করা (উল্লেখ্য সিমের পিন কোড ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক না)

নতুন অফার চেক করাঃ

একটা নতুন সিম কিনলে সেই সিমে অনেক নতুন নতুন অফার থাকে যেগুলো অপারেটর ভেদে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যখন আপনি একটা নতুন সিম কিনছেন তখন যার কাছ থেকে সিমটা কিনতেছেন তার কাছ থেকে এই সিমে কি কি অফার আছে সেগুলো ভালো করে জেনে নিবেন। তারপর অফার চেক করে সঠিকভাবে অফার গুলো উপভোগ করতে থাকবেন।

সিম প্রিফারেন্স সেট করাঃ

নতুন সিম কেনার পরে সিম রেফারেন্স সেট করে নিবেন অনেকেই আমরা সিম কিনে কথা বলার জন্য আবার অনেকেই সিম কিনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য কাজেই আপনি সিম টাকে কোন কাজে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন সেটা সেটিংস এ গিয়ে ডুয়াল সিম থেকে সিলেক্ট করে দিন তাহলে বারবার আপনাকে ঝামেলায় পড়তে হবে না।

ইন্টারনেট এবং মিনিটের মেয়াদ চেক করাঃ

নতুন সিম কেনার পরে আমরা আনন্দের সাথে সিম ব্যবহার করতে থাকি সে ক্ষেত্রে আমাদের ব্যালেন্স এর মেয়াদ কবে শেষ হয়ে যাবে ইন্টারনেটের মেয়াদ কবে শেষ হয়ে যাবে এবং মিনিটের মেয়াদ কবে শেষ হয়ে যাবে এগুলোর দিকে আর খেয়াল থাকে না যে কারণে হঠাৎ করে আমাদের মিনিট এবং ইন্টারনেট চলে যায় কাজেই নতুন সিম কেনার পরে কোন অফারের মেয়াদ কত দিন আছে তা চেক করে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন।

নাম্বার শেয়ার করাঃ

নতুন সিম কেনার পরে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজ সেটা হচ্ছে নতুন সিমের নাম্বার টা প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করা। সবাইকে নাম্বারটা জানিয়ে দেওয়া যেন প্রয়োজনে তারা আপনাকে কল করে পায়।