পুরাতন মোবাইল ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নিবেন
আসসালামু আলাইকুম আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে দেখাবো পুরনো মোবাইল ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নিবেন অনেকেই টাকার অভাবে পুরাতন মোবাইল কিনি আবার অনেকে আছেন যারা লোভে পড়ে পুরাতন মোবাইল কিনি কাজেই পুরাতন মোবাইল শুধু কিনলে হবে না পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কিছু বিষয়ে আপনাকে জানতে হবে একটা মোবাইল কিনে যদি পুলিশ কেস খান তাহলে বিষয়টা কেমন হবে বলেন, মোবাইল কেনার আগে আমরা যেমন: মোবাইলের রেম-রম প্রসেসর-ব্যাটারি এগুলো দেখি ঠিক তেমনি আমাদের এটাও দেখা প্রয়োজন মোবাইল কেনার পরে আবার জেলে না যাওয়া লাগে। আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে খুব সুন্দর করে বোঝানোর চেষ্টা করব একটা পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলো দেখে নেওয়া জরুরী কারণ পুরাতন মোবাইল কিনে অনেকেই ঠকতেছেন কাজেই আজকের এই আর্টিকেল যদি সুন্দর করে পড়েন তাহলে পুরাতন মোবাইল কেনার আগে এ বিষয়গুলো দেখে নিতে পারবেন তাহলে পুরাতন মোবাইল কিনে আপনি লসে পড়বেন না।
পুরাতন মোবাইল ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে নিবেনঃ
এবার আসুন নিচে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করি পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কোন কোন বিষয় গুলো দেখে নিবেন। আপনাদেরকে আবারো বলতেছি কম টাকা দেখেই মোবাইল কিনে ফেলবেন না অবশ্যই মোবাইল কেনার আগে নিচের বিষয়গুলো দেখে নিবেন। হোক না 500 টাকা, কিন্তু ৫০০ টাকা ও তো ইনকাম করা লাগে।
১। চুরি করা মোবাইল কেনা থেকে বিরত থাকুনঃ ভুলেও কখনো চুরি করা মোবাইল ফোন কিনবেন না, চোরাই মোবাইল কিনা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকবেন। কারণ কারো চোরাই ফোন যদি আপনি কেনেন তাহলে পুলিশ এসে আপনাকে ধরবে কারণ ফোনের অরিজিনাল মালিক যদি থানায় গিয়ে জিডি করে তাহলে পুলিশ লোকেশন ধরে আপনার বাড়ি এসে আপনাকে ধরে থানায় নিয়ে যাবে এবং আপনাকে জবাবদিহি করতে হবে মোবাইল কোথায় পেয়েছেন! বিস্তারিত। তাই মোবাইল কিনার আগে মোবাইলের সাথে থাকা বক্স এবং মোবাইল কেনার রশিদ দেখে মোবাইল কিনবেন এবং মোবাইলের IMEI কোড এর সাথে মোবাইল বক্সের IMEI কোড মিলিয়ে নিবেন।
২। RAM: রেম মোবাইলের গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ যে মোবাইলের রেম যত বেশি সে মোবাইলের পারফরম্যান্স তত ভালো কাজেই বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যদি আপনার মোবাইল ব্যবহার করতে চান ন্যূনতম 2 জিবি অথবা তার বেশি রেমওয়ালা মোবাইল কিনবেন। যদি 4gb বা 6gb অথবা ৮ জিবি রেমওয়ালা ফোন হয় তাহলে আপনি আরো ভালোভাবে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। ROM/Phone Storage: আপনি যে মোবাইলটা কিনবেন সেই মোবাইলের রম বা ফোন স্টোরেজ কত জিবি তা চেক করে নিবেন। আপনার রম বা ফোন স্টোরেজ যত বেশি হবে আপনার মোবাইলের পারফরম্যান্স ও ততো ভালো হবে এবং আপনি আপনার ফোন মেমোরিতে তত বেশি ডাটা রাখতে পারবেন। যদি রম বা ফোন মেমোরি ১৬ জিবি অথবা তার বেশি হয় তাহলে আপনার মেমোরি ব্যবহার করা লাগবে না, ফোন মেমোরি কাজে লাগিয়েই মোবাইলটা ব্যবহার করতে পারবেন।
৪। Processor: প্রসেসর হচ্ছে মোবাইলের চালিকাশক্তি! আপনার মোবাইলকে দ্রুত চালানোর জন্য বা সঠিকভাবে চালানোর জন্য প্রসেসরের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। ভালো মানের প্রসেসর দেখে মোবাইল কিনবেন।
৫। Battery: যত দামি মোবাইল কেনেন না কেন ব্যাটারির ব্যাকআপ যদি ভালো না পান তাহলে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি ব্যাটারি দুর্বল হয় ৩০ মিনিট ১ ঘন্টা চালানোর পরেই ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায় তাহলে এই মোবাইল চালিয়ে কোন মজা পাবেন না, কাজেই এই মোবাইলের ব্যাটারি এম্পিয়ার বেশি দেখে মোবাইল কিনবেন। আমার মত যারা সব সময় মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের জন্য ন্যূনতম 4000mah অথবা তার বেশি mah ব্যাটারি দেখে মোবাইল কেনা ভালো এবং বর্তমানে মোবাইলের ব্যাটারি ব্যাকআপ কেমন দিচ্ছে সেটা ভালো করে যাচাই করে তারপর মোবাইল কিনবেন, অধিকাংশ সময় দেখা যায় মোবাইলের অন্যান্য পার্টস নষ্ট হওয়ার আগেই ব্যাটারী ড্যামেজ হয়ে যায় কাজেই আপনি নিজে ব্যবহার করে দেখবেন ব্যাটারি কত ঘন্টা ব্যাকআপ দিচ্ছে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন ফোনটি আপনি কিনবেন কিনা।
৬। Camera: মোবাইল কেনার আগে ক্যামেরা দিয়ে কেমন ছবি ওঠে এটা দেখে নেওয়া জরুরি। তবে পুরাতন মোবাইল কেনার ক্ষেত্রে যদি আপনি মনে করেন আমার ক্যামেরা অত বেশি প্রয়োজন না, আমার অন্যান্য বিষয়গুলো ভালো হলে চলবে। তাহলে আপনি ক্যামেরার দিকে খুব বেশি নজর না দিলেও চলবে! তবে যদি আপনি মনে করেন আমার মোবাইল দিয়ে ভালো ছবি উঠবে আমি ছবি তোলার কাজে মোবাইলটাকে ব্যবহার করব, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ক্যামেরা কেমন তা দেখে মোবাইল কিনবেন। কত মেগাপিক্সেল ক্যামেরা এটা দেখে মোবাইল না কিনে, কত সুন্দর ছবি উঠতেছে এটা দেখে মোবাইল কিনবেন।
৭। IMEI নাম্বার চেক করাঃ মোবাইল কেনার আগে IMEI নাম্বার চেক করে নিবেন মোবাইলের ডায়ালপেটে গিয়ে *#06# ডায়াল করে দিলেই সেই মোবাইলের IMEI নাম্বার দেখতে পারবেন এই IMEI নাম্বার এর সাথে যে মোবাইল কিনতে চাচ্ছেন ওই মোবাইলের বক্সের IMEI নাম্বারের মিল আছে কিনা তা ভালো করে চেক করে নিবেন। অনেক সময় চুরি করা মোবাইলের IMEI নাম্বার চেঞ্জ করে বিক্রি করে সেক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই দেখে নিবেন বক্সের IMEI নাম্বারের সাথে আপনার মোবাইলের IMEI নাম্বারের মিল রয়েছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে মোবাইল কিনবেন না কারণ দেখা যাবে মোবাইল আপনি চুরি করেন নি কিন্তু পুলিশ এসে আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।
৮। দাম নির্ধারণঃ কোন মোবাইলের দাম নির্ধারণ অনেকটা ক্রেতা এবং বিক্রেতার উপরে নির্ভর করে তবে পুরাতন মোবাইল কেনার আগে যে বিষয়গুলো দেখে দাম নির্ধারণ করবেন তা হচ্ছে বিক্রেতা মোবাইলটা কতদিন যাবত ব্যবহার করেছে, যে মোবাইলটা আপনি কিনতে চাচ্ছেন সেই মোবাইলের নতুন দাম কত তা অনলাইনে দেখে নিবেন, এবং মোবাইলের কনফিগারেশন অনুযায়ী বর্তমান সার্ভিস কেমন দিচ্ছে এ বিষয়গুলো খেয়াল করে দুজনের সমন্বয় করে একটা দাম নির্ধারণ করবেন।
আমি আশা করি উপরের এই বিষয়গুলো দেখে যদি একটা পুরাতন মোবাইল কেনেন তাহলে আপনি ঠকবেন না। অনেকেই পুরাতন মোবাইল কিনে বিপদে পড়ে কারণ তারা জানে না পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কোন কোন বিষয়ের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে বা পুরাতন মোবাইল কেনার আগে কোন কোন বিষয়গুলো জেনে নেওয়া জরুরি এ কারণে না জেনে পুরাতন মোবাইল কিনে বিভিন্ন ধরনের বিপদে পড়ে।