সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়? - সিম বন্ধ হওয়ার কারণ
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই পর্বে আমি আপনাদেরকে জানাবো সিম কতদিন বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যায় অর্থাৎ সিম কতদিন বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যেতে পারে সে বিষয়ে আজকে আমি আপনাদেরকে একদম বিস্তারিত আলোচনা করে বুঝিয়ে দিব। এমন অনেকের সাথেই হচ্ছে একটা সিম আপনি বন্ধ করে রেখেছেন পরবর্তীতে যখন সিমটা মোবাইলে ঢুকাচ্ছেন দেখা যাচ্ছে সিমটা টোটালি বন্ধ হয়ে গেছে অর্থাৎ সিমের রেজিস্ট্রেশন ক্যান্সেল হয়ে মালিকানা পরিবর্তন হয়ে গেছে। অনেকে আবার বলেন বাংলালিনক সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি কেউ আবার বলেন গ্রামীন সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি আবার অনেকে বলেন এয়ারটেল সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি কেউ বলে রবি সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি আবার অনেকে আছে টেলিটক সিমের ইউজার সে বলে টেলিটক সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি আবার অনেকে বলে স্কিটো সিম বন্ধ হওয়ার কারণ কি,
বর্তমানে সিমের মালিকানা চলে যাওয়ার কারণ হচ্ছে সিমটা একটানা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখা। বাংলাদেশে "বিটিআরসি" নতুন নিয়ম অনুযায়ী একটা সিম নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ থাকলে সেই সিমটার মালিকানা চলে যাবে, তবে কতদিন বন্ধ থাকলে সিমের মালিকানা চলে যাবে তা নিচে আলোচনা করা হয়েছে। অর্থাৎ কোন একটা সিম খুলে আপনি অনেক লম্বা সময় ধরে রেখে দিতে পারবেন না, তাহলে আপনার ওই সিমের মালিকানা চলে যাবে অর্থাৎ সিম টা চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। কিছুদিন পরে দেখবেন আপনার ওই সিম অন্য মানুষে ব্যবহার করতেছে। এ সকল বিষয় নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা হবে তাই একটু ধৈর্য ধরে আর্টিকেলটা শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায়ঃ
আপনাদের প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে সিম কতদিন বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যায় অনেকেই আছেন মোবাইল থেকে সিম খুলে রেখে দেন প্রয়োজনে আবার ওই সিম মোবাইলে ঢুকায় ব্যবহার করে কিন্তু আপনাকে সাবধান হতে হবে কারণ বাংলাদেশের নতুন বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী একটা সিম আপনি সর্বোচ্চ ৪৮০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাস বন্ধ রাখতে পারবেন এই সময় অতিক্রম হয়ে গেলেই আপনার সিমের মালিকানা চলে যাবে এবং উক্ত সিম কোম্পানি সিমটা তুলে নতুন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করে দিবে অর্থাৎ আপনার মালিকানা থাকবে না। যদি এমনটা হয়ে থাকে আপনার কোন সিম বন্ধ করে রেখেছেন ১৫ মাস অর্থাৎ ৪৮০ দিন আপনার সিমটা বন্ধ রয়েছে এই সিমটা পুনরায় সচল করার জন্য কোম্পানি আপনাকে আরো ৩০ দিন সময় দিবে এই ৩০ দিনের ভিতরে সিমটা যদি আপনি সচল না করেন তাহলে উক্ত সিমের মালিকানা সারা জীবনের জন্য চলে যাবে।
বন্ধ সিম পুনরায় চালু করার নিয়মঃ
কোন একটা সিম যদি আপনার হারিয়ে যায়, নষ্ট হয়ে যায়, অথবা চুরি হয়ে যায় তখন চাইলে সেই সিমটা আপনি আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সাহায্যে তুলতে পারবেন অর্থাৎ চালু করতে পারবেন।
কিন্তু কোন সিম যদি একটানা ৪৮০ দিন অর্থাৎ ১৫ মাস বন্ধ থাকার কারণে মালিকানা চলে যায় এই সিম কোন ভাবেই আপনি আর চালু করতে পারবেন না। এই সিমের মালিকানা সারা জীবনের জন্য আপনার থেকে চলে যাবে।
সিম বন্ধ হওয়ার কারণঃ
উপরের আর্টিকেল টুকু পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে কোন সিম যদি 480 দিন অর্থাৎ একটানা 15 মাস বন্ধ থাকে তাহলে সেই সিমের মালিকানা চলে যায় এখন প্রশ্ন হচ্ছে সিম কেন বন্ধ হয়ে যায়? আগে একটা সময় তো আমরা বছরের পর বছর সিম বন্ধ করে রাখতাম আবার সিম যখন ইমপোর্ট করতাম তখন সিম সচল হয়ে যেত। কিন্তু নতুন এই নিয়মটা কেন আনা হলো যে ১৫ মাস সিম বন্ধ থাকলে মালিকানা চলে যাবে?
ভালো করে বুঝুন: আপনারা জানেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিকৃত সিম গ্রামীণফোন তারপর বাংলালিংক।
গ্রামীন সিমের কোড 017 - বাংলালিংক সিমের কোড 019
আমরা সবাই জানি, প্রত্যেকটা সিমের কোড অনুযায়ী ওই সিম কম্পানি সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ সিম তৈরি করে বিক্রি করতে পারবে। (অর্থাৎ প্রত্যেকটা কোডে ১০ লক্ষ নাম্বার রয়েছে) যে লিমিট ইতিমধ্যে বাংলালিংক এবং গ্রামীনফোন অতিক্রম করে ফেলেছে। যার কারণে গ্রামীণ সিমের নতুন কোড ০১৩, এবং বাংলালিংক সিমের নতুন কোড ০১৪,
মূলত তাদের এই ১০৭ এবং ০১৯ এর কোড শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই নতুন নিয়ম চালু করেছে। যেন একাঠারে কেউ ১৫ মাস সিম বন্ধ করে রাখলে সেই সিমটা অটোমেটিকলি বন্ধ হয়ে যায় এবং এই সিমটা তারা পুনরায় অন্য আরেকজন গ্রাহকের কাছে বিক্রি করতে পারে। তবে এই নিয়মটা আমার কাছে ভীষণ ভাবে অপছন্দ হয়েছে। আমার সিম আমি টাকা দিয়ে কিনেছি এক বছর বন্ধ রাখবো নাকি পাঁচ বছর বন্ধ রাখবো সেটা আমার ব্যাপার, কিন্তু যেহেতু বিটিআরসি নিয়মটা করেছে সেহেতু আমাদের আর কি বা প্রতিবাদ করা রয়েছে।